Saturday, 8 August 2015

ভারত উপমহাদেশের ইতিহাস.......

এশিয়া মহাদেশের মধ্য দক্ষিণে অবস্থিত ভারতবর্ষ পৃথিবীর বৃহত্তম উপমহাদেশ। বিশাল আয়তন, বিপুল জনসংখ্যা, বৈচিত্রময় সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের বৈচিত্রের দরুন একে উপমহাদেশ আখ্যা দেয়া হয়। জনশ্রুতি আছে যে, প্রাচীনকালে এ অঞ্চলের একজন শাসনকর্তা ছিলেন রাজা ভরত। তার নামানুসারেই এর নামকরণ করা হয় ভারত। অনেকের মতে সিন্ধু নদ কে গ্রীকরা বলত ইন্ডাস। আর ঐ ইন্ডাস থেকেই ইন্ডিয়া নামের উৎপত্তি। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আধিক্য হেতু মধ্যযুগের মুসলিম লেখকরা একে হিন্দুস্তান বলে অভিহিত করেন। ভারত, ইন্ডিয়া বা হিন্দুস্তান সব নামেই এই উপমহাদেশটি পরিচিত। ভারতবর্ষের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম, উত্তর-পূর্বে হিমালয়। দক্ষিণে ভারত মহাসাগর, পূর্বে ব্রহ্মদেশ বা মায়ানমার এবং পশ্চিমে পারস্য (ইরান) ও আরব সাগর অবস্থিত। এ অঞ্চলের প্রাচীনতম অধিবাসী হল দ্রাবিড় (উৎধারফ) জাতি। কালক্রমে আর্য, শক, কুষান, হুন গন এখানে বসতি স্থাপন করে। এ ভারতবর্ষে বহু জাতি, বহু ধর্ম, বহু ভাষাভাষী মানুষের সমাগম। এক সাথে এত বৈচিত্র পৃথিবীতে বিরল। এ অঞ্চলে হিন্দু (সনাতন) ধর্ম  ও ইসলাম ধর্মের আধিক্য থাকলেও বিপুল পরিমানে বৌদ্ধ, ক্রিশ্চান, শিখ, জৈন, অগ্নি উপাসক সহ অন্যান্য অনেক ধর্মের অনুগামী বর্তমান। ভারতবর্ষে দুই’শর অধিক উপভাষা (উরধষবপঃ) প্রচলিত আছে। কাল বিভাজন অনুযায়ী ভারত বর্ষে
-    প্রাচীন যুগ- মুসলীম বিজয়ের পূর্বে ভারতের বৌদ্ধ ও হিন্দুদের শাসন
-   মধ্যযুগ- সিন্ধু ও মুলতান বিজয়ের পর থেকে মুঘল শাসনের শেষার্ধ
-    আধুনিক যুগ- ১৭৫৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সময়কে বিবেচনা করা হয়।
১৯৪৭ সালের ১৪ ও ১৫ আগস্ট ভারত উপমহাদেশ ভেঙ্গে দুটি স্বতন্ত্র দেশ (পাকিস্তান ও ভারত) এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভেঙ্গে দুটি স্বাধীন দেশ (বাংলাদেশ ও পাকিস্তান) সৃষ্টি হয়। যদিও আজ ভারত বর্ষের বুক চীরে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া বয়ে গেছে, তথাপি ও বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান দেশ ত্রয়কে একত্রে আজো ভারত উপমহাদেশ বলে আখ্যা দেয়া হয়।

- আশরাফুল ইসলাম সায়ান।

No comments: